বৃষ্টি সৃষ্টি
হঠাৎ সেদিন.... গুটি গুটি পায়ে, হাতে এক কাপ কফি নিয়ে দাঁড়িয়ে পরলাম ব্যালকানির ধারে। দুচোখ ভরে বাইরের দৃশ্য যখন দেখছি মণে হচ্ছে গোটা শহরটা যেন থমকে আছে কিছুর অপেক্ষায়।
হঠাৎই দক্ষিণা হাওয়া এসে যেন আমার সমগ্ৰ শরীরকে সতেজতার এক ণতুন অনুভব দিয়ে গেল। ঘরির কাটায়
তখন ঠিক চারটে বেজে পয়তাল্লিশ্ মিনিট। তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি সে গম্ভীর হয়ে আছে। কফির কাপে এক চুমুক দিতেই হঠাৎ ঝঁম ঝঁমিয়ে বৃষ্টি পরতে লাগল, যেন মেঘকে আর বেধেঁ রাখা গেলনা।
ধুলায় মাখা শহরকে যেন এক নতুন রূপের ছোঁয়া দিল বর্ষা। শহর আবারও যেন হেসে উঠলো বৃষ্টির স্পর্শে। অঝোরে ঝরে পরা বৃষ্টির সাথে বয়ে আসা হাওয়া যেন এক অদ্ভুত আবেগপ্রবণ। চোখে পরল দূরের কচু গাছটির দিকে যেখানে এক ফোঁটাও জল দারাচ্ছেনা, পাশের ফুলের বাগানটি যেন বর্ষার স্পর্শ পেয়ে হেসে উঠেছে।
আর দূরের ওই বসে থাকা ভেজা দুটি পাখি যেন মনের সুখে কত গল্প করছে। পাশের মাঠটিতে বাচ্চা ছেলে গুলি কাদামাটি মেখে ফুটবল খেলছে, দেখে তো মন বলছে ভারী মজা লাগছে তাদের। গোটা বিকেলটাই বর্ষা যেন এক চমকে চমৎকার রূপ দিল শহরকে। তার সৌন্দর্য ঠিক তার নামের মতোই। এই বৃষ্টি কে উপেক্ষা করে কত না গল্প আছে, বৃষ্টিকে অনুভব করে কত না কবিতা লিখেছেন কবিরা।

বর্ষার আমেজে মন মাতিয়ে তুলতে বৃষ্টি তো প্রতিটি বছরই আসে। অনেকের কাছে বৃষ্টি হলেই চাই খিচুড়ি সাথে বেগুণ ভাজা আর ইলিশ মাছ। এই যে যেমন আমি বৃষ্টি হলেই এক কাপ কফি আর সাথে কিছু গান শুনতে ভালোবাসি। যাহ! আজ তো কফিটা ঠাণ্ডা হয়ে গেল। আজ তবে এতটাই থাক, আবারও ফিরে আসব নতুন কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে।
ছবি সৌজন্যে : গুগল